সময়ের সংবাদ ডেস্ক | ইয়েমেন
ইয়েমেনের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ বন্দর রাস ইসা-তে মার্কিন ও ব্রিটিশ যৌথ বিমান হামলায় শহীদ হয়েছেন অন্তত ৭৪ জন নিরীহ বেসামরিক নাগরিক এবং আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৭১ জন। গত ১৭ এপ্রিল রাতে এ হামলা চালানো হয়, যা হুথি নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য বিভাগ নিশ্চিত করেছে।
এই হামলা মানবতা, আন্তর্জাতিক আইন এবং যুদ্ধবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে বলে হুথি সংবাদ মাধ্যম জানায়। আহতদের মধ্যে অনেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সন্ত্রাসের মুখোশে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (CENTCOM) দাবি করে, হুথিদের অর্থনৈতিক কাঠামো দুর্বল করাই এ হামলার উদ্দেশ্য ছিল। তাদের তথাকথিত “সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান” মূলত একটি স্বাধীন জাতির বিরুদ্ধে নগ্ন সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন। রাস ইসা বন্দরকে হুথিদের অর্থায়নের কেন্দ্র হিসেবে উল্লেখ করলেও, এই বন্দরটি ইয়েমেনের জন্য জ্বালানি, খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।
এই হামলার মাধ্যমে মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী ইয়েমেনের কোটি কোটি ক্ষুধার্ত মানুষের জীবনের ওপর আঘাত হেনেছে, যাদের অনেকেই ইতিমধ্যে মানবিক সংকটে আছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও নিন্দা
ইরানসহ একাধিক মুসলিম দেশ এই বর্বর হামলার নিন্দা জানিয়ে একে “যুদ্ধাপরাধ” হিসেবে অভিহিত করেছে। হুথি সরকারও এই হামলাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ বলে চিহ্নিত করেছে এবং পাল্টা প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হামলার মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য প্রমাণ করলো যে, তারা শুধুমাত্র সামরিক শক্তির দম্ভে তৃতীয় বিশ্বের দুর্বল জনগণের রক্ত চুষে খেতে চায়।
একটি প্রশ্ন:
আজ যদি রাস ইসা বন্দরে ৭৪ মার্কিনি নিহত হতো, তাহলে কী হতো? সারা দুনিয়া দাঁড়িয়ে পড়তো! কিন্তু ইয়েমেনের নিরীহ মুসলমানদের রক্ত যেন মূল্যহীন!
আল্লাহ তায়ালা বলেন:
اَلَا لَعۡنَۃُ اللّٰہِ عَلَی الظّٰلِمِیۡنَ
“যালিমদের উপর আল্লাহর লা’নত!”
(সূরা হুদ: ১৮)