বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে নিজ গ্রাম দিন দেবিদ্বারের গোপালনগরে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে এ বয়ান করেন হাসনাত আবদুল্লাহ।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল থেকে তার ওই আলোচনা বেশ কয়েকটি ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেজে আপলোড করা হয়। যা ছড়িয়ে পড়ে অনলাইনের বিভিন্ন প্লাটফর্মে। আলোচনায় তাকে বলতে শোনা যায়, কারও কাছে অপ্রিয় হলাম, কারও পছন্দ হলো না, সেটা মুখ্য না। মুখ্য হচ্ছে আমার ইসলাম আমাকে কী বলে। আমার দ্বীন আমাকে কী শিক্ষা দেয়। সেটা যদি অপছন্দেরও হয় সেটাই আমাদের বলতে হবে।
তিনি বলেন, আমি যেহেতু এই গ্রামে ছিলাম, এই গ্রামের সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা রয়েছে। এই গ্রামে এক ধরনের অর্থনৈতিক বিনিময় প্রচলিত রয়েছে। যেটাকে আপনারা নাম দেন পত্তন। এটাকে যে নামেই ডাকেন না কেন, এটা সরাসরি সুদ। আমার পরিবারসহ আশপাশে অনেকেই আছেন। এই ধরনের বিষয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। কিন্তু আমরা যখন বুঝেছি, যখন পড়াশোনা করে জেনেছি, আলেমদের থেকে পরামর্শ নিয়েছি, বিশ্বাস করেন সেই দিন থেকে আমরা এই পথ থেকে ফিরে এসেছি।
হাসনাত আরও বলেন, এই যে আমরা দেখি টাকা থেকে টাকা বৃদ্ধি পায়, এটা অসংখ্য পরিবারকে নিঃস্ব করে দেয়। আপনি আমাকে অপছন্দ করেন, সেটা আমার দেখার বিষয় না। কিন্তু সুদকে সামাজিকভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে আপনারা সুদকে বন্ধ করে দেন। আপনারা যদি আমাদেরকে সহায়তা করেন, আমরা চেষ্টা করব সামাজিক ঋণকে সহজলভ্য করার। এ সময় তিনি বলেন, ইসলাম তো পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। ইসলাম দুনিয়া নিয়েও কথা বলে, দুনিয়া পরবর্তী বিষয় নিয়েও কথা বলে। আমাদের দুইটারই সমন্বয় ঘটাতে হবে।