বুধবার (৫ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়। লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১১ তম দিনের মতো এই কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষকরা বলেছেন, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে এক দফা দাবি নিয়ে তারা আন্দোলন করে আসছেন। শিক্ষকতা করে দেশে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে ভূমিকা রাখলেও তারা সরকার থেকে বেতন পাচ্ছেন না৷ শিক্ষকতা করে বেতন না পাওয়ায় তাদের পরিবার নিয়ে জীবনযাপন করা কষ্টকর। দীর্ঘদিন ধরে তারা এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্তির দাবি জানিয়ে আসলেও কোনো সরকারই আন্তরিকভাবে কাজ করেনি। তাই বাধ্য হয়ে তারা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
রাজশাহী থেকে আসা রাসেল সরকার বলেন, আমরা দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করে বেতন পাচ্ছি না। নিজের পরিবারের কাছে বোঝা হয়ে গেছি। এখন আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। আমরা ১১তম দিনের মতো অবস্থান করছি। এখন আমাদের চাওয়া সরকার যেন আমাদের দাবি দ্রুত মেনে নেয়। আমরা যেন রাজপথ থেকে ঘরে ফিরতে পারি।
সিলেট থেকে আসা মেহেদী হক বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতা করছি, শিক্ষার্থীদের পড়াচ্ছি কিন্তু বেতন পাচ্ছি না। আমরা যৌক্তিক দাবি জানাচ্ছি কিন্তু আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে না। আমরা চাই যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক স্বীকৃতি রয়েছে সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত সময়ের মধ্যে এমপিওভুক্তি করা হোক।