ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী নেতা যতি নরসিংহনন্দ এক ভিডিও বার্তায় হিন্দুদের অস্ত্র ধারণ করে নিজেদের সংগঠন গঠনের আহ্বান জানিয়েছে। তার দাবি, মুসলিমদের লক্ষ্যবস্তুতে রয়েছেন হিন্দুরা, তাই অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়া জরুরি।
গত ৪ মার্চ ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, উত্তর প্রদেশের দাসনায় তার মন্দির থেকে ধারণ করা এক ভিডিওতে সে হিন্দুদের একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। উগ্রপন্থী এই নেতা বলেছে, ‘অস্ত্র তুলে নিন। প্রয়োজন হলে নিজেদের সংগঠন গঠন করুন, যেমনটা মুসলিমরা করে, আইএসআইএস-এর মতো।’
যতি নরসিংহনন্দ মুসলিমদের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়ে দাবি করে, হিন্দুরা যদি অস্ত্র না নেয়, তবে পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে না। তার দাবি, সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের মোরাদাবাদে হিন্দুদের মারধর করা হয়েছে।
এ সময় সে উত্তর প্রদেশের আরেক হিন্দুত্ববাদী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে হিন্দুদের অস্ত্র সরবরাহ করার জন্য সাহায্য চায়। এ ভিডিও প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকে প্রশাসনের কাছে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
সিনিয়র সাংবাদিক ড. মুকেশ কুমার এক্স পোস্টে বলেন, ‘এই সন্ত্রাসী বাহিরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রতিদিন হিন্দুদের উসকে দিচ্ছে গৃহযুদ্ধ শুরু করার জন্য। এর ফলে ভয়াবহ সহিংসতা ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই অবিলম্বে তাকে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেপ্তার করা উচিত।’
এছাড়াও তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অভিযুক্ত করে বলেন, ‘তাকে গ্রেপ্তার করা হবে না। এটি প্রথমবার নয় যে সে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। যতদিন মোদি-শাহের নিরাপত্তা থাকবে, ততদিন এই ধরনের উগ্রপন্থীরা শক্তিশালী হবে, আর অন্য ধর্মের মানুষদের দোষী সাব্যস্ত করা হবে।’
এই ভিডিওতে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের রাজ্য সভাপতি শওকত আলী বলেন, ‘এই ব্যক্তি নিয়মিতভাবে হিন্দুদের মুসলিমদের বিরুদ্ধে উসকানি দিচ্ছে, অস্ত্র তুলে নিতে বলছে, তবুও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’