বিশ্ব দেখছে, কিন্তু কেউ কিছু বলছে না। নীরবতায় মুখ লুকিয়েছে মানবাধিকারের নামে গড়া জাতিসংঘ। গাজার মাটি আজ রক্তাক্ত—সেখানে শুধু শিশুর কান্না আর ধ্বংসস্তূপের স্তব্ধতা।
জাতিসংঘ, যে সংস্থা বিশ্বজুড়ে শান্তির বাণী প্রচার করে, যুদ্ধ বন্ধের ডাক দেয়, মানবাধিকারের নামে সেনা পাঠায়—আজ ফিলিস্তিনে নির্বিকার। প্রশ্ন জাগে: জাতিসংঘের মানবাধিকার কি মুসলিমদের জন্য প্রযোজ্য নয়?
আমেরিকার প্রত্যক্ষ মদদে ইসরায়েল চালিয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিনে গণহত্যা। তারা প্রতিদিন বোমা মেরে ধ্বংস করছে ঘরবাড়ি, স্কুল, হাসপাতাল। অথচ বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থাগুলো চুপ! একটিবারও উচ্চারণ করছে না—‘স্টপ কিলিং ইন গাজা’।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্টভাবে বলেছেন, “আমি গাজা দখল করব।” প্রশ্ন জাগে, গাজা কি তার বাপ–দাদারসম্পত্তি? এই ঔদ্ধত্য, এই বর্বরতা কি জাতিসংঘের চোখে পড়ে না?
এ জাতিসংঘ মুসলিমদের রক্ষার জন্য নয়, বরং তাদের নির্যাতনের বৈধতা দিতে প্রতিষ্ঠিত। যদি এই সংস্থা মুসলিমদের জন্য সুবিচার না করতে পারে, তবে তাদের আইন মানার কোনো প্রয়োজন নেই। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলি—এই জাতিসংঘের কোনো মূল্য আমাদের কাছে নেই।
আজ সময় এসেছে জেগে ওঠার। ঈমানদার যুবকরা, জেগে ওঠো!
জিহাদ তোমায় ডাকছে—এটা সময়ের দাবি।
গর্জে উঠুক সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর রুহ, ছুটে আসুক খালিদ ইবনে ওলিদের তরবারি, আগুন হোক সেই জ্বালা যা পোড়াবে শিরক ও কুফরের গর্ভ।
এটা কেবল যুদ্ধ নয়—এটা ঈমান ও কুফরের মধ্যে এক চূড়ান্ত সংঘর্ষ।
জিহাদ মানে নির্যাতিতের আত্মরক্ষা, এটি আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। যারা বলেছিল “মানবাধিকার”, আজ তারা কোথায়? কোথায় তাদের সেই মানবতা? অথচ মুসলিম উম্মাহ জিহাদ করেই যুগে যুগে প্রতিষ্ঠিত করেছে মানবতা।
আমরা সাহায্য চাই না জাতিসংঘের। আমাদের জন্য যথেষ্ট আল্লাহ। তিনি সর্বশক্তিমান, তিনি একমাত্র অভিভাবক, তিনিই আমাদের সাহায্যকারী।
তাই উঠো হে মুসলমান! রক্তে লেখা হবে বিজয়গাঁথা।
জিহাদের অনলে জ্বলে উঠুক মুসলিম উম্মাহ।
আল্লাহর সাহায্য আসবে, বিজয় সন্নিকটে।