ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে সামরিক যানের ভেতর থেকে পিঠ লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে দুই শিশুকে হত্যা করেছে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের সেনারা। এর মধ্যে এক শিশুকে তার বাড়ির উঠোনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় গুলি করে ইসরাইলি সেনারা।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বাহিনী দুই ফিলিস্তিনি শিশুকে পেছন থেকে পিঠে গুলি করে হত্যা করেছে। নিহত শিশুদের একজন হচ্ছে আইমান নাসের আল-হাইমুনি (১২) হেবরনে শহীদ হন এবং রিমাস আল-আমোরি (১৩) জেনিন গভর্নরেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহিদ হন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইসরাইলি বাহিনী আল-হাইমুনির ওপর এমন সময়ে গুলি চালায় তিনি হেবরনের দক্ষিণে আত্মীয়দের সাথে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। পরে আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। অন্যদিকে আল-আমোরিকে পেটে গুলি করা হয় এবং তাকে জেনিন সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কিছুক্ষণ পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ডিফেন্স ফর চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল – প্যালেস্টাইন (ডিসিআইপি) জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে জেনিন এলাকায় নিজের পরিবারের বাড়ির উঠোনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় তাকে গুলি করা হয়।
ডিসিআইপি জানায়, আল-আমোরি কাছ থেকে আনুমানিক ৫০ মিটার দূরে অবস্থানরত সাঁজোয়া যানে থাকা একজন ইসরাইলি সৈনিক তাকে উদ্দেশ্য অন্তত পাঁচটি গুলি ছুড়ে এবং এসব গুলি পেছন থেকে পিঠে আঘাত করে।
ডিসিআইপি-এর আয়েদ আবু ইকতাইশ বলেছেন, কোনো সতর্কতা ছাড়াই আয়মান এবং রিমাসকে পেছনের দিকে সাঁজোয়া যানের ভেতরে অবস্থানরত ইসরাইলি সৈন্যরা গুলি করেছে। এটা ফিলিস্তিনি শিশুদের জীবনের প্রতি ইসরাইলি বাহিনীর অবজ্ঞা ছাড়া আর কিছুই না। আর আফসোসের বিষয় হচ্ছে- তারা কোন ধরনের জবাবদিহিতার সম্মুখীন হবে না।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী নাবলুস, তুলকারেম, জেনিনে ও পশ্চিম তীরে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে অধিকৃত ভয়াবহ আগ্রাসন চালাচ্ছে। এরই ধরাবাহিকতায় বর্বর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটল।