অপারেশন পরবর্তী ট্যাবলেট টোরাক্স ১০ প্রতি বক্সে ৪০০ টাকা দাম বেড়ে হয়েছে এক হাজার টাকা। অথচ দেড় মাস আগেও দাম ছিল ৬০০ টাকা। কোলেস্টরেলের জন্য দেয়া হয় রসুভা ১০, যা প্রতি বক্সে বেড়েছে ৬০ টাকা। আর্থ্রাইটিসের ব্যথায় ব্যবহৃত ফ্লেক্সি ১০০, প্রতিবক্সে বেড়েছে ২০০ টাকা যা ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেড় মাসের ব্যবধানে শুধু একটি ওষুধ কোম্পানির প্রায় ৩০টি আইটেমের দাম বেড়েছে লাগামহীনভাবে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ওষুধের দাম কিছুটা বাড়লেও সবচেয়ে বেশি বেড়েছে স্কয়ার ফার্মার।
বাজারে ১১৭ টি ওষুধের দাম নির্ধারণ করে ওষুধ প্রশাসন। কিন্তু এর বাইরে অনেক প্রোডাক্ট রয়েছে যা কোম্পানিগুলো নিজেদের ইচ্ছেমতো দাম নির্ধারণ করে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ওষুধের দাম বাড়ানোর অনুমতি পাওয়ার আগেই বাজারে দাম কার্যকর করা হয়। সবকিছু ওষুধ প্রশাসনের যোগসাজশে করা হয় বলেও অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের। বলছেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ ও মনিটিরং না থাকায় ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে ওষুধ উৎপাদন প্রতিষ্ঠানগুলো।
সরকারেরর নির্লিপ্ততা ও উদাসীনতানকে দায়ী করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও। ওষুধের দাম নির্ধারণে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র ইউনিট করার দাবি তাদের।
তবে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক আকতারুজ্জামান জানান, দাম বৃদ্ধিতে সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকলেও তা যথেষ্ট নয়।
গত তিনমাসে গড়ে ২৯ শতাংশ দাম বেড়েছে জীবনরক্ষাকারী প্রায় পঞ্চাশটি ওষুধের।