কুমিল্লা সদরের কোতোয়ালি থানার রসূলপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় পারিবারিক সম্পত্তি বিরোধের জেরে দেবরের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন ৬৫ বছর বয়সী স্বামীহারা বৃদ্ধা হোসনেআরা বেগম। ২৪ জানুয়ারি জুমার নামাজের পর চুলা নির্মাণ নিয়ে উত্তেজনা থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
জানা গেছে, সম্প্রতি বন্যায় হোসনেআরার মাটির ঘরের চুলাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তিনি নতুন চুলা নির্মাণের উদ্যোগ নেন। তবে অস্থায়ীভাবে একটি পাকা চুলা দেবর আবুল কাসেমের বাড়ি সংলগ্ন নিজ জমিতে নির্মাণ করতে চাইলে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে কাসেম ও তার পরিবারের সদস্যরা বিশেষ করে তার বড় ছেলে নাসির উদ্দীন ক্ষুব্ধ হয়ে হোসনেআরাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে হোসনেআরার হাত থেকে শাবলটি ছিনিয়ে নিয়ে চুলাটি ভাঙতে আসে।
বৃদ্ধা বাধা দিতে গেলে কাসেম রাগান্বিত হয়ে লোহার শাবল দিয়ে তার চোখে আঘাত করে, এতে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা জানান, কাসেমের পরিবারের সদস্যরা সংঘর্ষের সময় পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা না করে বরং ঝগড়ায় যোগ দেয় এবং পাল্টা আক্রমণাত্মক মনোভাব দেখায়।
কাসেমের পরিবারের দাবি, এটি একটি দুর্ঘটনা। তাদের ভাষ্যমতে, যদি ইচ্ছাকৃতভাবে শাবল দিয়ে মারা হতো, তবে আঘাত আরও গুরুতর হতো। তবে উপস্থিত সাক্ষীরা বলেন, কাসেম দীর্ঘদিনের রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করেছে।
কাসেম শুক্রবার রাতেই গ্রামের লোকদের কাছে ঘটনাটিকে দূর্ঘটনা বলে প্রচার শুরু করেছে। এছাড়াও সাক্ষীদের নানা ধরনের হুমকি দিয়ে মিথ্যা সাক্ষী দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।
হোসনেআরার ছেলে ইফতেখাইরুল বলেন, “আমার মায়ের ওপর এই হামলা পরিকল্পিত। সম্পত্তি নিয়ে আমাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের শত্রুতা রয়েছে। কাসেম এবং তার পরিবার আমাদের বাড়িটি দখল করার জন্য তৎপর হয়ে আছে, তাই তার এমন আচরণ।”
আজ ২৭ জানুয়ারি পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করতে আসে। পুলিশ থাকাকালীন সময়ে কাসেমের কোনো খোঁজ ছিলো না।
আহত হোসনেআরা বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার শারিরীক এবং মানসিক অবস্থা বর্তমানে খুবই মর্মান্তিক।