স্টাফ রিপোর্টার | ইসলামিক পলিসি ডেস্ক | ঢাকা
বর্তমান বিশ্বে এক অদ্ভুত ধারায় ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগ তোলা হয়। বলা হয়, মুসলমানরা “সন্ত্রাসী”, “অমানবিক”, “যুদ্ধপ্রিয়”। কিন্তু ইতিহাস কী বলে? কে আসলে বেশি যুদ্ধ করেছে? কে করেছে বর্বরতা আর গণহত্যা?
এই প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে আমাদের ফিরে তাকাতে হবে ইতিহাসের পাতা, পরিসংখ্যান ও নৈতিক মানদণ্ডের দিকে।
ইসলাম যুদ্ধকে নিষিদ্ধ করেনি, তবে সীমাবদ্ধ করেছে নৈতিকতা ও মানবতাবোধের মাধ্যমে।
কুরআনে বলা হয়েছে: “তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো, যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, কিন্তু সীমালঙ্ঘন করো না।” — (সূরা বাকারা: ১৯০) রাসূল (সা.) শিশু, নারী, বৃদ্ধ, কৃষক, গাছ ও উপাসনালয় রক্ষা করার আদেশ দিয়েছেন। তাঁর অধিকাংশ যুদ্ধ ছিল আত্মরক্ষামূলক এবং অনেক সময় রক্তপাত ছাড়াই জয় লাভ করেছেন।
মানব ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধ, গণহত্যা ও অত্যাচার এসেছে বিধর্মী বা নাস্তিক শাসকদের হাত থেকে।
বিশ্বযুদ্ধ ও উপনিবেশবাদ:
•প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত: ৮ কোটির বেশি মানুষ।
•ইংরেজ ও ফরাসি উপনিবেশ: আফ্রিকা ও এশিয়ায় দাস বানিয়েছে কোটি মানুষকে।
•মঙ্গোল আক্রমণ: চেঙ্গিস খান একাই হত্যা করে প্রায় ৪ কোটি মানুষ।
•স্টালিন, হিটলার, মাও সে তুং: মিলিয়ে প্রায় ১০ কোটির গণহত্যা।
ভারত উপমহাদেশ:
•ইংরেজ শাসনে শুধু বাংলার দুর্ভিক্ষেই মারা যায় ৩০ লক্ষ মানুষ (১৯৪৩)।
•১৯৪৭ সালে বিভাজনে নিহত হন প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ।
•মুসলিমবিরোধী দাঙ্গা, কাশ্মীর ও গুজরাটে আজও রক্তপাত থামেনি।
মুসলমানদের উপর বরং বারবার বর্বরতা চালানো হয়েছে। অথচ তারা যুদ্ধ করেছে সীমিত পরিসরে, নৈতিকতার সঙ্গে। অন্যদিকে, বিধর্মী বা নাস্তিক জাতি যুগ যুগ ধরে মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে ক্ষমতা ও সম্পদের লোভে।
তাহলে প্রশ্ন হলো:
“কারা বেশি অমানবিক?”
ইতিহাস নিরপেক্ষ হলে — উত্তর আসবে নিজেরাই।
পাঠকের জন্য প্রশ্ন:
আপনি কি সত্যিই ইতিহাস জানেন? নাকি শুধুই মিডিয়ার বানোয়াট প্রোপাগান্ডা বিশ্বাস করছেন?