তসলিমা নাসরিন দীর্ঘদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিশেষত ফেসবুকে ইসলামবিরোধী বিভিন্ন পোস্ট করে যাচ্ছেন। প্রায় প্রতিটি লেখায় তিনি সরাসরি কিংবা পরোক্ষভাবে ইসলামের শিক্ষা, নবী মুহাম্মদ (সা.) এবং মুসলমানদের ধর্মীয় অনুশীলন নিয়ে ব্যঙ্গ ও অবমাননামূলক মন্তব্য করেন। তিনি ইসলামের বিধানগুলোকে মধ্যযুগীয়, নারীবিদ্বেষী এবং অগ্রহণযোগ্য বলে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেন। অথচ তিনি কখনোই অন্য কোনো ধর্ম নিয়ে একইভাবে কথা বলেন না। প্রশ্ন জাগে, তার তথাকথিত নারীবাদ কেন কেবল ইসলামের বিরুদ্ধেই সক্রিয়?
ইসলামবিদ্বেষ প্রচারের পাশাপাশি তসলিমা নাসরিন প্রকাশ্যে নাস্তিকতার প্রচার চালান। তিনি বিশ্বাস ও ধর্মকে ‘অযৌক্তিক’ ও ‘গোঁড়ামি’ আখ্যা দিয়ে ধর্ম থেকে মানুষকে দূরে সরানোর চেষ্টা করেন। মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাসকে ব্যঙ্গ করে তিনি মূলত যুবসমাজকে বিভ্রান্ত করতে চান, যাতে তারা ইসলামের শাশ্বত শিক্ষাগুলো থেকে বিচ্যুত হয়।
তিনি নারীবাদের কথা বললেও প্রকৃতপক্ষে তিনি কেবল ইসলামী সংস্কৃতিতে বেড়ে ওঠা নারীদের বিদ্রোহী করে তুলতে চান। তিনি মুসলিম নারীদের পর্দাকে ‘কারাবাস’ এবং ইসলামি মূল্যবোধকে ‘অন্যায় শৃঙ্খল’ হিসেবে তুলে ধরেন। অথচ পশ্চিমা সংস্কৃতির নামে নারীদের পণ্য হিসেবে উপস্থাপন করা, শোষণ করা কিংবা অপমানিত করা নিয়ে তিনি নীরব থাকেন। এটি স্পষ্ট যে, তার উদ্দেশ্য নারীর অধিকার রক্ষা নয়, বরং ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানো।
তসলিমা নাসরিনের এই ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড ও প্রচারণা কখনোই মুক্তচিন্তা কিংবা নারীবাদ হতে পারে না। এটি স্পষ্টতই বিদ্বেষ, ষড়যন্ত্র এবং বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা। তার মতো ইসলামবিদ্বেষী ব্যক্তিদের বিষয়ে মুসলমানদের সজাগ থাকা জরুরি। সমাজের প্রত্যেক ধর্মপ্রাণ মানুষকে এ ধরনের অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
ইসলাম ধর্মকে অপমান করে কেউ যদি নারীবাদী হতে চায়, তবে তা আসলে নারীবাদের অপব্যবহার ছাড়া কিছুই নয়। ইসলামই একমাত্র ধর্ম, যা নারীর যথাযথ সম্মান ও মর্যাদা নিশ্চিত করেছে। তাই ইসলামকে আক্রমণ করে নয়, বরং প্রকৃত নারীর অধিকার রক্ষায় সত্যিকারের ভূমিকা রাখতে হবে।