সময়ের সংবাদ: হাসিনা ফোনকলে দাবি করেছে, ৫ আগস্ট সে চাইলে গুলি করে টিকে যেতে পারতো।
বাট সে মানুষ মেরে থাকতে চায়নি বলে পদত্যাগ করে চলে এসেছে।
কথাটা এখন যতটা হাস্যকর লাগে, আজ থেকে ২০ বছর পর ততটা লাগবেনা।
সেনাপ্রধান, বিমানবাহিনী প্রধানসহ যারা ওখানে ছিলেন, তাদের উচিত পুরো ঘটনা, কনভার্সেশনগুলা জাতির সামনে আনা। যাতে হাসিনার মিথ্যাচারকে আমরা প্রতিহত করতে পারি। ওখানে যেহেতু আপনারা ছিলেন, সত্য প্রকাশের দায়টাও আপনাদেরই। মিডিয়ার কোন ঠিক নাই। আজ একটা বলবে,ক্ষমতা চেঞ্জ হলে তখন আরেকটা বলবে।
মুজিবকে স্বাধীনতার ঘোষকও এভাবেই বানানো হয়েছিলো।
মুজিব নিজে ৭ মার্চের আগেও পাকিস্তান আর্মির হাতে গ্রেফতার হতে চেয়েছিলেন। যাতে স্বাধীনতার ঘোষণা তাকে না দিতে হয়।
২৫ শে মার্চ তাজউদ্দীন মুজিবকে পালাতে বললেও মুজিব পালাননি। বরং তাজউদ্দীন দেখলেন, মুজিবের স্ত্রী নিজের হাতে মুজিবের স্যুটকেছ গুছিয়ে রাখছেন। এবং সেই স্যুটকেস হাতেই মুজিব গ্রেফতার হন। যেখানে চশমা, ওষুধ, জামাকাপড় সব ছিলো।
মানে এই গ্রেফতারটাও ছিলো সাজানো। জাস্ট স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুজিব ফাঁসির আসামী হতে চাননি।
অথচ সেই মুজিবকে পরবর্তীতে এসে বানানো হলো স্বাধীনতার ঘোষক।
১৯৭১ এ এটা শুনে অনেকেই হাসতো হয়তো, বাট ২০২১ এ এসে এইটা বাংলাদেশের লাখ লাখ ছেলেমেয়ে বিলিভ করে বসে আছে। এরা কোনদিন প্রশ্ন করে না, মুজিব যদি স্বাধীনতার ঘোষণা দিতোই, তাহলে সেই ঘোষণা পাশেই শেরাটন হোটেলের বিদেশি সাংবাদিকদের কাছে গেলো না কেন?
কেন সেই সুদূর চট্টগ্রামের এক মেজরকেই ঘোষণাটা দিতে হলো?
সেইমভাবে আজ থেকে ৪০ বছর পর যখন মানুষকে বলা হবে, হাসিনা গুলি না করে পদত্যাগ করেছে, অনেকই প্রশ্ন করবে না, তাহলে আগের ১৬ দিনে ২০০০ লোক কে মারলো?
বরং অনেকেই এইটা বিশ্বাস করে বসে থাকবে।
কাজেই, ৫ আগস্ট যারা যারা গণভবনে ছিলেন, হাসিনাকে দেখেছেন, কথা বলেছেন, তারা দয়া করে ঐদিনের ঘটনাটা বিস্তারিত জানান।
যাতে আমরা রেফারেন্স সহ শক্ত করে বলতে পারি।
জাস্ট তাজউদ্দীন এর মেয়ে নেতা ও পিতা বইটা না লিখলেই মুজিবকে ২৫ শে মার্চের হিরো বানানো হতো।
সেইম কাজটাই যে ৪০ বছর পর হাসিনাকে নিয়েও করা হবে না, সেটার নিশ্চয়তা কে দেবে?