এই ছবিটা প্রায় ১৫ বছর আগে দৈনিক আমারদেশ পত্রিকায় ছাপা হয়েছিলো।
উপরের ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, কিভাবে এনজিও’রা বাংলাদেশের ৩ পার্বত্য জেলাকে বাংলাদেশ থেকে পৃথক করে পৃথক ভূখণ্ড তৈরীর ষড়যন্ত্র করছে। ঠিক যেভাবে সুদান থেকে দক্ষিণ সুদান এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে পূর্ব তীমুর নামক আলাদা খ্রিস্টান রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছিলো জাতিসংঘ ও সম্প্রাজ্যবাদীরা। বাংলাদেশেও ৩ পার্বত্য জেলাকে পৃথক করতে খ্রিস্টান মিশনারীরা ব্যাপক খ্রিস্টানীকরণ করেছে এতদিন। সেই খবর হয়ত কেউ কেউ জানেন।
আজকে এনসিটিবির সামনে স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি আর উপজাতিদের মধ্যে যে মারামারি হয়েছে, তার মূল ঘটনা হচ্ছে –
অনলাইনে নিউজ বলছে- স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি সংগঠনটি দীর্ঘদিন ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার বিদেশী ষ’ড়যন্ত্র সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার জন্য কাজ করছে।
অপরদিকে আজকে উপজাতি রাস্তায় নেমেছিলো, উপজাতিদের সাংবিধানিক আদিবাসী স্বীকৃতির জন্য। কারণ উপজাতিদের যদি সাংবিধানিক আদিবাসী স্বীকৃতি দেয়া হয় তবে জাতিসংঘের আইন অনুসারে উপজাতিরা ৩ পার্বত্য জেলায় তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখিয়ে স্বায়ত্ত্বশাসন বা পৃথক ভূখণ্ড দাবী করতে পারে। ফলে ৩ পার্বত্য জেলা বাংলাদেশ থেকে পৃথক হয়ে যাবে। যেই ছবিটা দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা ১৫ বছর আগে প্রকাশ করেছিলো। এক্ষেত্রে ডারত উপজাতিদের উস্কানি দিয়ে যাচ্ছে।
উপজাতি-আদিবাসী প্রশ্নে বাংলাদেশের সকল গভঃমেন্ট এক ছিলো। কেউ তাদের আদবাসী বলেনি, বলেছে- ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী। কারণ দেশের অখন্ডতা প্রশ্নে ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। বিশেষ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী উপজাতিদের ষ’ড়যন্ত্র দমন করতে পাহাড়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। তবে এর বিরুদ্ধে প্রথম আলো – ডেইলি স্টার, খ্রিস্টান মিশনারী ও বাম সংগঠনগুলো। তারা উপজাতিদের আদিবাসী হিসেবে সব সময় উল্লেখ করে এবং সাংবিধানিক স্বীকৃতির জন্য কাজ করে।
তথ্যসূত্র- THE DAILY MCK